“তোর শহরে বৃষ্টি হলে ভিজে আমার মন”—এই জনপ্রিয় গানের লাইনটি বৃষ্টির শব্দে মন ও আবেগ যেমন ভালো লাগে, ঠিক তেমনি আমার ভাব ছন্দে ‘ছমছম বৃষ্টিচিত্র’ সেই প্রকৃতির দিন-সময় শব্দের মাধুর্য ধরা দিয়েছে। কেন ছন্দ থেকে পাওয়া শান্তি ছমছম পরিবেশের বর্ণনা, রূপ-গন্ধ হয়ে আসে। ছমছম বৃষ্টি শুনলে কেমন লাগে বা মনে কী হয়—তারই প্রতিউত্তরিত ধ্বনি নতুন করে নিঃশ্বাস নেয়। আজকের ঝমঝম বৃষ্টি আর ভেজা আবহাওয়া, কি শহরের ঝুম ঝুম বৃষ্টি পড়ার অনাসৃষ্টি ঝুম?
পৃথিবী আবার নতুন করে বেড়ে ওঠে যখন ফোঁটা ফোঁটা জল আওয়াজে ঝরে পড়ে। এক অদ্ভুত প্রশান্তি মনো দিনো ক্ষনে ধরা দেয়। জানালার শিক ধরে স্পর্শকাতর হয়ে হৃদয়ের কোনো অচেনা তারে জল ফোঁটা গুনে যাই। কেন এমন হয়? আজ বৃষ্টির কান্না দেখে তুমি বৃষ্টি হয়ে নামলে। প্রকৃতির টুপটাপ ভালোবাসা,
যা শহরের ভেজাতেও ছুঁয়ে যায় মনের ভেতরের নরম জায়গাগুলো।
বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে কানে মনে হয় ছন্দের সুর বাজে। প্রকৃতির গন্ধ ও শব্দ মিলিয়ে, এক একাকার সুরেলা ঝমঝম মিক্সড হয়। গাছপালার পাতার ফাঁকে, জানালার কাচে, আর মাটির গন্ধে গড়ে তোলে এক সম্পূর্ণ দূরেলা-সুর। এই ছন্দই হয়তো আমাদের ভিতরকার অস্থিরতাকে প্রশমিত করে দেয়। তোর শহরে যখন ছমছম আওয়াজে রাস্তাগুলো কান্না ভেজায় ঝলমল করে, আমি তখন নিজের রুমের জানালার পাশে বসে সেই শব্দের আবেগ মাখার প্রতিধ্বনি শুনি,আর মনে হয়—আমার মনও বৃষ্টিতে ভিজছে আদ্র বাতাসের ধীরে ধীরে।
মনো চরিত্রের বিজ্ঞান ভাষায়, বৃষ্টির সময় প্রকৃতির শব্দের মাধুর্য মানুষের মধ্যে শান্তি-উৎপাদক অ্যালফা তরঙ্গ তৈরি করে। তরঙ্গায়িত প্রশান্তি মস্তিষ্কে কমিয়ে দেয় মানসিক চাপ। তাই হয়তো বৃষ্টির শব্দ শুনে মন ভালো লাগে।
কেন শুধু বিজ্ঞান?—
আমরাও খুঁজে পাই অদ্ভুত রোমান্টিকতার ছোঁয়া। ছমছম প্রকৃতির মাঝে লুকিয়ে থাকে সুরে ভেজা সময়ের অনুভব। সর্বদাই আবেগের রঙ প্রতিফলিত হয় মনের কাচের দেয়ালে। তোর শহরে দেখি আকাশ ঢাকা মেঘো পথ, অমনি অনুভূতির পরিবেশ শব্দের শুরে ভিজে ওঠে। এ একখানা ভালো লাগার গভীর স্রোত।
ছমছম প্রকৃতির দিনে বৃষ্টির শব্দ শুনে তোর শহরে মনে আমার কী হয়
তোর শহরে বৃষ্টি হলে আমি বসে থাকি ভেজা ঠান্ডার অফুরন্ত মোন-দোলা নিয়ে, দীর্ঘ অপেক্ষমান। শহরটা যেন চিরচেনা শীতল ঠান্ডার—বাসনা আমার। অপেক্ষায় থাকি ছমছম প্রকৃতির দিন আসবে কবে, আর বৃষ্টির পহরকে গুনে ভেজা দোলায় নাচতে থাকি। মুহূর্তেই ভিজে আমার মন, যখনই তোর শহরটা বৃষ্টির ছমছম ভাব সৃষ্টি করে।
বৃষ্টি আসার শুরুতেই জানিয়ে দেয় শব্দগুরি বরফ-ঠান্ডা বাতাস। শব্দের সুরে কান থেকে মাথা দারিত সমস্ত দেহকে ভুলিয়ে দেয়—ভালো লাগার টিপটিপ ঠান্ডা জল-ফোঁটা আসছে বলে। কিছুক্ষুণ বাদেই রূপ আকার: ছমছম প্রকৃতির দিন! পরিবেশ বর্ণনায় মেঘলা দিনে মনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়ে—মনোভাব বদলায় কেন?
এই প্রশ্নেই সৃষ্টি হয়েছে আমার রচনাকৃত ‘ছমছম বৃষ্টিচিত্র’ যা কি না তোর শহরের এক কোনের পুকুর পারের অবস্থান।
পুকুরটা ছিল বিশেষ কোনো চেনা চেনা ভাবের শহর পরিচিত। অনেক চেনা মুখের নগরায়ণ পরিস্থিথি করেছে ভেজা ভাব—আমার মনটা। বৃষ্টির দিনে প্রকৃতির গন্ধ ও শব্দ একত্রে বাস করিয়ে কিছু সময় প্রকৃতির শব্দের মাধুর্য সৃষ্টি করার চেষ্টা। আজ তাই কলম হাতে লিখে চলি বর্ষবরণ মনে—
“বৃষ্টি আর বৃষ্টি
পুকুর পানের ঘনো বৃষ্টি
ঘনো বৃষ্টির পুকুরেতে
ছবির ফ্রেম দানের সৃষ্টি।”
বৃষ্টির এই সূচনা লগ্নে নিকটস্থ পুকুর পার-টি ছিল তোর শহরের এক কোনে। যেদিন আসছিলো ঘনো বরষ অনেক টুপটাপ হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া শব্দে। আনন্দে আর্তহার ভেবে কুল না পেয়ে ছবি তোলার ডুব ফ্রেম দান সৃষ্টি চালাই
আবার সৃষ্টিতার অপরূপ সৃষ্টিতে দেহ-চোখ চলে ছবি তোলার নেশায়। অমনি অনেক কষ্টের মাঝেও ক্যামেরা বন্দীতে কালি দান—
“সৃষ্টিতার তোলোন
ভেজে ছবিতার ছম ছমি
টল টল পানির চিত্র—টল
ঝর ঝরি পানির ফটক তলন নিশি
ছত্রে চিত্রে ছম
ছবিতে ছেম ছায়াময় টুপুর টুপুর ছমি।”
ছবি ভাসবে ছম ছম চরিত্রের তোলোন পানির চেষ্টাসাফল্যে। চিত্রকে কেরে নেবো টল টল পানির চিত্রে। তৎক্ষণাৎ ক্যামেরার শাটার শব্দে ফটক তলন নিশি, আর ঝর ঝরি পানি কবু নাহি যেন ফটকে ঝরে।
অনেক চরিত্রময় ছত্র ভাবপূর্ণ দীক্ষায় ছেম ছায়াময় ছবি তোলোন চলিবে অনেক। বৃষ্টির টুপুর টুপুর ছবিটা আজ হৃদ-গ্রাহ্যের ভালো লাগার শেষ প্রান্তে পৌঁছেছে।
প্রকৃতির ছমছম ভাব রূপ গন্ধ সময় হলে ভিজে আমার কেমন ভালো লাগে
বৃষ্টির ছমছম ভাব মানে শুধু প্রকৃতির রূপ ভরা বৃষ্টি পড়ার শব্দ নয়—মাটির রন্ধ্রে রন্ধ্রে জেগে ওঠা পরিবেশ সজীবতার গন্ধ। আকাশ বাতাস, জমা মেঘ ঘন-তার বাসে ছুঁয়ে যায় ত্বক, আমাদের বুজতে এবং শিখতে দেয় ভিজে ওঠার সময় এখন। রূপ, গন্ধ আর শব্দ মিলেমিশে তৈরি করে বাস্তবতার স্বপ্নে সীমা ঘুলিয়ে যাওয়া। প্রতিটি ফোঁটা মনের মলিনতা ধুয়ে দেয় নরম করে। ঠিক সেই মুহূর্তেই ভালো লাগা ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের বদ্ধ খাঁচার এক চিলতে।
ছমছম বৃষ্টি মানে কীভাবে বোঝানো যায় কবিত্ব প্রেমের দান, আঁচড়ে যায় কলমের শীষ কালির ছাপাখানার প্রেস। মোন চিহ্নিত পাতা থেকে টুপটাপ শব্দের ভিতর, ছন্দের বাড়িতে পাওয়া শান্তি থেকে ঘুমিয়ে থাকা অনুভবগুলো জেগে ওঠে। দূর পাল্লার আকাশ ঝলকানিতে বিদ্যুৎ দাগ কেটে যায় ঘুমপাড়ানি চাদর বস্ত্র জড়ান।
প্রকৃতির সৌন্দর্য—শীতল বাতাস হাওয়ার মাটির গন্ধে তৈরি হয় এক অভ্যন্তরীণ সুর। আলোড়ন সময়টা এসে আসে নিজ লিখনীর কোনে। কথোপকথন নিঃশব্দতা, একাকী বলে সে—“ভিজে যাও, একটু থেমে নাও, দেখো—ভালো লাগা, কেন আসলে সহজ।”
বৃষ্টির সময় প্রকৃতির শব্দের গন্ধ মাধুর্যতে—পাতা চরিত্র থেকে আমার নিজ লিখনীতে বলে যাই—
“ছল ছলানি জলের ঢেউয়ে
জল ছলানি
রিনিঝিনি জল ছল
টুপটাপ বৃষ্টি
ঝুমুর ঝুমার
ঝপ ঝপ
ছপ ছপ
ঝম ঝমি সৃষ্টি।”
ছল তীরে বেশ জলের ঢেউয়ে জল ছলানি এবং ছল ছল করে ঢেউকে প্লাবিত কিনারমুখী। টুপটাপ বৃষ্টির শব্দের রিনিঝিনি জল দিয়ে, অনুভূতি ওপারেতে ছলমুখী অলংকারিক বরন। ঝুম বৃষ্টির সুরে ঝুমকা ঝপ ঝুমুর,
মন ছুঁয়ে যাওয়া ঝমঝম সুরের সাথে প্রকৃতির ছোঁয়া। তাই বরষ বর্ষ এমন জোরে পড়লো ঝুমুর ঝুমার ঝপ ঝপ থেকে ছপ ছপ ঝম ঝমি সৃষ্টি বৃষ্টি, যা আওয়াজ শুনলে কানে এসে লাগে বা মনকে ভিজিয়ে দেয়।
☔
বৃষ্টির সময় প্রকৃতির শব্দের মাধুর্য ভালো লাগে কেন, কারণ চারদিকের উদ্ভাসিত ধ্বনি সঙ্গীতে মিশে যায়—সুর হয়ে ধরা দেয়। প্রকৃতির গন্ধ ও শব্দ এই দিনে বাতাস মিলে নিজের থাকে না। ভেজা আবহাওয়া নিয়ে ঝুম ঝুম ঝুম অনাসৃষ্টি তুমি নামলে।
বৃষ্টির সময় প্রকৃতির শব্দের মাধুর্য ছন্দ থেকে পাওয়া শান্তি
ছন্দ কী? প্রকৃতির ছন্দ থেকে কি সত্যিই কোনো মাধুর্য বয়ে আসে?
আমি একজন লেখক হিসেবে বলবো—শান্তি ছাড়া মাধুর্যের ছন্দ প্রকৃতি হতে পারে না।
প্রকৃতির প্রতিটি সৃষ্টির ভেতরেই লুকিয়ে থাকে সেই শান্তি,
যার বিস্তারে জন্ম নেয় সৌন্দর্যের বীণাস্বর।
আর বৃষ্টির ছন্দ থেকে পাওয়া সেই শান্তি—
এক অমূল্য সম্পদ, যা কেউ অনুভব করতে পারে, আবার কেউ হয়তো পারে না।
তাই, তোর শহরে বৃষ্টি হলে অনুভবের চেষ্টায় পঠন গঠিত লেখায় ভিজে আমার মন ও কিছু লেখা তাড়া করিয়ে বেড়ায়—
“ছম ছমা ছম
জলোজ বরোষ
শিশির ভিজি”
জানিনা ছন্দতে মাধুর্য এনেছে কি না? তবে বলতে চাই—ছম ছমা ছম জলোজ বরোষ—বৃষ্টির অনুপম শক্তিটা ভিজে শিশির দ্বার প্রান্তে জলজ বরোষ রূপ হয়েছে। আসল শিশির ভিজি ভিতর দিয়েই তোর শহরের মানুষ গুলোকে চিনতে পারা।
আর হাত না বাড়িয়ে কলম চালনী থামলো না—বৃষ্টির ছন্দ থেকে পাওয়া শান্তিতে
“কুয়াশা ভার
আকাশ পানার পরোণ
ধুঁয়ার আকাশী
জল পরী
ধোঁয়াশার তরুণ গাছের উচ্চ তল মূর্তি”
আকাশ তুমি চিনলে না ভার করা কুয়াশা!
যতক্ষণ কিছু দ্বার আগেই, জল বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে তোমাকে। আজ তোমার পরতে পরতে কুয়াশার দুনিয়ার ধুঁয়ার গুলি উড়িয়ে চলে—নতুন ভালো লাগার আকাশ দিগন্ত। তারই একটু নিচে পুকুর পারের গাছগুলোর উচ্চ তল মূর্তিকে সাজিয়ে দিয়েছো–তুমি জল পরী! গাছগুলো মাটির মধ্যে জন্মিয়েছে তার, প্রকৃতির তরুণ গাছ রূপে।
তবু বৃষ্টি থামলে চারদিকে নেমে আসে নরম নৈঃশব্দ্য, আর ভেজা আবহাওয়াতে প্রকৃতি নিজের ভেতর ডুবে গেছে ধ্যানে।
পুকুরপারের গাছগুলো তখনো শিশিরে ভিজে,
পাতায় পাতায় জমে থাকে জলের বিন্দু ও সূর্যের আলো কাঁপিয়ে সোনালি গান!সেই সুরেই বুঝি প্রকৃতি আবার নিজের বীণাস্বর ছুঁয়ে বলে দাড়ান ওঠে—
ছন্দ মানে শুধু শব্দ নয়,ছন্দ মানে জীবনের মৃদু ওঠানামা ও নিঃশব্দতা।
যার মাজে বৃষ্টি, কুয়াশা, আলো আর অন্ধকার সব মিলিয়ে গড়ে তোলে এক শান্ত সঙ্গতি পরিবেশ—যাকে আমরা সৌন্দর্য প্রতীক হিসাবে আঁকড়ে রাখি।
ঝুম ঝুম ঝুম শব্দের আবেগ বা মানে শুনলে—বৃষ্টি কি অনাসৃষ্টি ?
ঝুম ঝুম ঝুম—শব্দতম শব্দতমা সুরের সাথে কি শুধু বৃষ্টি পড়ার ছমছম মৃদু ছন্দ,
না কি প্রকৃতির মন ছুঁয়ে যাওয়া অনুভূতি থেকে ওঠা…শেষ নিঃশব্দ কান্না?
জল নামে, শহর ঢাকে, সাদা ধোঁয়ার আড়ালে আমার শুনলে কেমন লাগে—পরিবেশ গাছবেষ্টনী; নিজের ভেতর লেখার কোনো কবিতাম পাঠ করছে।
প্রতিটি ফোঁটা জনিত আঘাতের মাটির বুক জেগে ওঠে;
ধুলো মুছে রূপ-গন্ধে ভরে যায় বাতাস।
এই ভিজে শব্দের কান শূন্যতায়ই তো সৃষ্টি আর ধ্বংসের মিলন,সব ছোঁয়াই একেবারে নতুন জন্মের বার্তা।
তবু প্রশ্ন রয়ে যায়—অনাসৃষ্টি মানে কীভাবে বোঝানো যায় এবং অনাসৃষ্টির নিঃশ্বাস কোথায়? যখন সৃষ্টির কোনো যোগকরণ শূন্যতাই হতে পারে না তখন শূন্যতা ভরে শুরু হচ্ছে আরেকটি জীবন। তাই অনাসৃষ্টিতে—ভিজে ধুয়ে দেয়, আবার কিছু মুছেও ফেলে। অনাসৃষ্টির নীরব প্রমাণেই মনো-কানে বাজে এক অদ্ভুত শান্তি।
অন্যদিকে ছমছম শব্দের আবেগ বা মানে বুঝাতে ঐ একই আগেরকার অনাসৃষ্টির আবেগ ঘুরতে থাকে। এ যেন শুভ সূচনার, ঘুরপাকের সৃষ্টির ঘর। তাই শুধু তোর শহরে ভিজবো না, বরং ফিরে পাবো অভ্যন্তরীণ ছন্দ-বাক্য মিলন—
“তরোণ ভান
নভো নভো
আর্দ্রে বাতাস
গাছের পরী
রং সারি সর
পুকুর পারের জল
তরঙ্গী গাছের রাশী”
আজ বৃষ্টির কান্না দেখে, প্রকৃতির অপরূপ ঝুম-ঝুম অনাসৃষ্টির তৈরীতে পুকুর পারের স্তম্ব-গাছ সেজেছে, আদ্র পরীর ভেষে। জেগে ওঠার তরোণ ভান—নভো নভোতার চাঁদমুখ খুলেছে।
রংধনুর রং সারি সর সাজে বৃষ্টি-জল পরে তরঙ্গী গাছের —রাশী পুকুর পার। ভিজন মাটির পাতার উপর করা টপটপ ফোঁটা মাটিকে ফুলিয়ে স্নিগ্দতার ঠান্ডা লাগিয়েছে। তাই ওপারেতে জল আর মাটি-গাছ আমাদের মনোভাব বদলায়। অনন্ত পুনর্জন্মের ছন্দ থেকে শাষ নিতে কখনো ভেজা আবহাওয়াতে এড়িয়ে যেও না। ভালো থাকো ভালো লাগাও পুনর্জন্মের স্বাদ।
আজ বৃষ্টির কান্না দেখে তোর শহরে রূপ গন্ধ থেকে ভিজে আমার মন
আজ বৃষ্টির কান্না শুধু আকাশ-মেঘের নয়, আমারও।
জল-কান্না গড়িয়ে পরে, অথচ তার মধ্যকার সুর বেজে উন্মেচিত পথে, আত্মভোলা স্মৃতির কোনো ভেজা কোণ থেকে শহর-বাজিত প্রাণে উঠে আসে।
তোর শহরের পথে পড়ে থাকা প্রতিটি ছম ছম আকারের ফোঁটা যেন লিখে যায় অনুভবের চিঠি, যেখানে রূপ আর গন্ধের মিলনে আমার মনটাও ধীরে ধীরে শান্তিতে ভিজে ওঠে।
একপ্রকার আসল আত্মমোচনে মনের ধুলো ঝরে পড়ে, ও ভেতর-কার শুষ্কতা ডংকি কাঠগুলো পানিতে চুবায়।
আমি বুঝতে সক্ষম, তুমি আমি বৃষ্টির শব্দে মন ভালো লাগাই কেন—এ ধোয়া মোছা হতে পারে আমাদেরই পুনর্জন্ম।
রূপের গন্ধে, ধ্বনির ছন্দে, জলের মৃদু টুপটাপে, অজানা জন্মা আগত—বীজ লুকিয়ে থাকে।
কান্নার আঁখিতে ফুস্কানো পানির জল-ছাদ চোখরে নিজের অজান্তেই নতুন বাঁচার কাজ প্রুতিশ্রুতি নিয়ে বাঁচি। বৃষ্টি পড়ার শব্দ দিনে সেই নবজন্মের অংশ হয়েছি আজ আমি—বৃষ্টির গন্ধে রূপ আবেগ নিয়েছি, তোর শহরের আকাশ-চিত্তে ছড়িয়ে পড়েছি মনের ভেজা সুরে।
এমনও পরিবেশের দিনে কলম থামালে আমার হবে অভিশাপ—
কারণ,ছমছম শব্দের আবেগে,স্পর্শ ফলিয়েছে জীব-বাজের আদ্রতম প্রান্তে:—
রূপ, গন্ধ, ছন্দ, ভালোবাসা আর শান্তি নীড় মন জুড়ে যাই।
সব মিলেমিশে মনের ক্যানভাসে লিখে যায়—তোর শহরের সেই ভেজা মুহূর্ত।
“ভালো লাগার অনন্ত দিকের ছন্দে ভিজে থাকা এক নীরব কবিতা-প্রেমী।”

SWF & Software expert__Banking swift code Specialist__Mobile Tech Enthusiast
With years of experience, I am a seasoned article writer. I possess a deep understanding of Small Web Format (SWF), mobile software development, and general software, which enables me to articulate every piece of content effectively. I created an insightful article about financial messaging systems for banking transactions (like SWIFT code).










