নিজেকে বিচার ও কন্ট্রোল করার উপায়: নৈতিক শক্তির মানসিকতা

অনেক গুণীজন তাঁদের শিল্পকলায় নিজেকে কন্ট্রোল করার উপায়, বিচার-বিশ্লেষণের মানসিকতা ও নৈতিক শক্তির অর্থ ও ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। তেমনি আজকের আমি, আমার প্রকাশিত “দণ্ডঘরণ” কবিতার মাধ্যমে ন্যায়-অন্যায় বোঝার অভ্যন্তরীণ শক্তিকে কার্যকর করে তুলতে চাই।
নিজেকে শোধরানোর মনস্তত্ত্বে চেনার উপায় কী?—এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নেয় আত্মশুদ্ধি ও অন্তরের ন্যায়বোধের বার্তা, যেখানে আলোচিত হয়েছে নিজ দণ্ডেও মানের অর্থ ও ব্যাখ্যা।
নিজের প্রতি বিশ্বাস, জানা ও তৈরি করা নিয়ে বলতে শিখুন। কলব (হৃদয়) পরিষ্কার করার পরিবর্তন জিকিরই সঠিক ও নির্ভুল পদ্ধতি। আত্মশুদ্ধির মরিচা দূর করণে, বুদ্ধিমান নিয়ন্ত্রণে, কিছু আপডেট কথায়—আগে নিজেকে চিনুন।

নিজেকে বিচার করার মানসিকতা আসলে আত্মার এক গভীর সাধনা ও নৈতিক শক্তি। একটি ভুলের আয়নায়েই, অবলোকন কারী হতে পারে আমাদের ন্যায়-অন্যায় বোঝার অভ্যন্তরীণ শক্তি। নিয়ন্ত্রণ মানে না অস্থির তরঙ্গ শেষ ডুবি প্রশান্ত নৌকায়: আত্মনিয়ন্ত্রিতহীন, যা মানবিক ন্যায়ের সন্ধান স্রোতে দিক খুঁজে পায় না। আর , এই খুঁজবার বিপরীত দিকেই প্রথম পাঠ এসে যায় নৈতিকতার কন্ট্রোল। আজ আমরা অবশই আমাদের বিবেক ও চিন্তাকে সংলাপের বসে সত্যিকারের আত্মশুদ্ধিতা নিবো।

যাত্রাবিরতী ত্যাগে শক্তির বিচার লাভ অবস্থান। অনুশীলন আকারে অন্তরের নির্মল চিরস্থায়ী বাসনা। যাত্রা পথের আলোকবিন্দু দেখতে পায় একমাত্র কর্ম রূপের মাধ্যমে। সেই আলোকবাজিতেই শেখায় কেমন করে হৃদয়ের ‘কলব’কে পরিশুদ্ধ করতে হয়। কর্ম হাতের মুখ জিকিরেই গভীরতা এবং নীরব উপলব্ধির ছন্দ। নিজেকে সুরের বাঁধনে পরম শক্তিকে কন্ট্রোল করার উপায়ে নৈতিক মানসিকতার চেনার প্রকৃত পরিচয় মানুষ হয়ে ওঠে নিজেরই শিক্ষক, নিজেরই পথপ্রদর্শক।

নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে বিচার করার এই ধারাবাহিকতার অনুশীলনই প্রাণময়-মনুষ্যকে করে তোলে পরিণত, সংযমী ও প্রজ্ঞাবান। প্রতিদিনের দিশায় নৈতিক শক্তি হয়ে ওঠে আত্মশুদ্ধি ও অন্তরের ন্যায়বোধের বার্তা। বাক্য-বলিত, আদেশ-ত্বড়িত সমন্বয়ে জেগে নেয়ার প্রকৃত রূপ বাসা বাঁধে নিজেরই অন্তর। নীরব বিশ্বাসে, সচেতন প্রয়াসে ও ধার্মিক মননে আত্মনিয়ন্ত্রণের এই শক্তিই শেষপর্যন্ত মানুষকে চেনার উপায় কি—তা মুক্তির পথ দেখায়। নিজের পরিবর্তন করার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে আলোর উৎস ও শান্তির প্রতিচ্ছবি।

নিজেকে কন্ট্রোল করার উপায়ে—শোধরানোর মনস্তত্ত্ব কী

কোনো বাহ্যিক নিয়মেই নিজেকে কন্ট্রোল করার উপায় নেই; আত্মার ভেতরকার সচেতন প্রয়াসে নিখুঁততা বৃদ্ধি। মন যখন সীমাহীন আকাঙ্ক্ষার জালে জড়িয়ে পড়ে, তখন শোধরানোর মনস্তত্ত্ব শেখায় কীভাবে—ভাবনাকে দিকনির্দেশ আকাঙ্খাইতো বাতি জ্বলন শিক্ষাপ্রীতি।

প্রতিটি অনাকাঙ্খিত থেকে ভুল বা আবেগের বিস্ফোরণে থামাতে শেখায় প্রথম শুদ্ধতার পাঠ। রহস্যঘেরা—থামিয়ে আবার চলা বিজ্ঞানই মনোসংযমের, আসল কারণ। লুকানোর শেষ পর্যায়ে অন্তর্নিহিত মনোসংযম দমন।

মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার উপায়কে জেনে নেওয়াই আসল শোধরানোর মনস্তত্ত্ব,—এ এক নতুন শেখার যাত্রা, বিপদ যতই পায়ে এসে বাঁধুক না কেন, মনকে স্থিরবাঁশিতে অন্তরের গভীর শ্বাসনালী ফুঁকে ফুঁক বাঁশি বাজাবো। বাঁশির বুক ভুলানো গানে নিজের ভেতরের ছায়া ও আলোকে আলাদা করে দেখতে চাই।

ভুলকে স্বীকারোক্তি দিয়ে এবং সাদরে ভুল-ছাউনির ঘরকে মন মাধ্যম গড়ে তোলো।পরবর্তীতে এমন ছাউনি দিতে হবে যেন ঢুঙ্ক বাতাসে ভুল-বাসোনি ঘর ভেঙে না পরে। আত্মসমালোচনার পিছন দিকের যন্ত্রমানবকে মুহূর্তেই চিনতে পারা আত্মশুদ্ধির বিকাশ এবং বদলানোর উপায় মন্ত্র হতে পারে তোমার দ্বারপ্রান্ত।

শোধরানোর মনস্তত্বে মূল চাবিকাঠি হলো ধৈর্য ও সচেতনতার আত্মনিয়ন্ত্রণ। মনকে সংযত করা মানে নিজের অনুভূতিকে বোঝা, তবে আবেগ প্রবাহে ডুবে না যাওনির অনুভূতি তুমি। সাধনা-তরীতে প্রতিটি নিশ্বাসে সীমা বাসাকে উপলব্ধি করে। তাই আশ্চর্য হলেও সত্যি যে অন্তৰ্দৃষ্টি কেবল নিজেকেই কন্ট্রোল করা না, বরং নিজেকে চিনে ফেলে।
এতকিছুর অন্তর পরিশুদ্ধতার—কলব পরিষ্কার রাখার জিকির মনেই, আমি গান বুকে চেষ্টা চালিয়ে যাই—লিখন তোমার ধরণ পাতায়:-
“নিজ দন্ডেও মান—
বাস, বাসেরই ঘরণ তুমি, আমি, সে।
ঘরণ যেনো অটুট বসে—
তাহারই নিষ্ঠা বানের দশে।”

ভূমিকার চিঠি লিখনীর তলদেশে, আমি নীরব ভূমে বলতে চাই—আমাদের নিজের কারণেই ঘর তুলি তদউত্তরে দাঁড়িয়ে থাকি ন্যায়-অন্যায় বোঝার অভ্যন্তরীণ শক্তি তমা। তুমি এখন যা করবে কাল তুমি অবশ্যই কালের নেশা বাজে ফেরৎ পাবে। জবাব তোমার, ফেরত পিছু, নাহি ছাড়ে।

অপরদিকে আমার এমন ব্রতে মনো ভিক্ষে দীক্ষা চাহি, যেনো অটুট বসে নিষ্ঠভাবে ঘর তৈরিতে কাঠ ঠুকরা জোগাড়ন নিবেশ। চিহ্নিত তারে আসল তাহারই চেহারা। ঐ দিকে চেয়ে থাকা বিচার পথ নির্দশনে—তাকে কভু ভালোবাসতে ভুল না করি।

নিজের বিচার করার মানসিকতা ও ন্যায়-অন্যায় বোঝার নৈতিক শক্তি

সফল ব্যক্তিত্বের ভেতরকার আবেগ, চিন্তা ও কার্যকলাপকে নিরপেক্ষ চোখে দেখতে শিখে, —এবং সেখান থেকেই গড়ে ওঠে নিজের বিচার করার মানসিকতা। নিজের ভুল, দুর্বলতা বা নিত্যদিনের অভ্যাসের সত্যটিকে মেনে নেওয়ার মধ্যেই জন্ম নেয় সত্যিকারের বিচারবোধের নৈতিক শক্তি। অভ্যাস আমি গড়বো এমন রূপে! যাহাতে আসক্তি ভেঙে সেই সমালোচনার ভিড় পার হয়। এমনিই মানব চালচলন ব্যক্তিত্বে অধিক সচেতন ও নৈতিকভাবে দৃঢ় করে।

নিজেকে চেনার উপায় কি?—প্রশ্ন জন্মাইতো মানসিকতাই, অন্তরের আলো–অন্ধকারকে সত্যভাবে দেখতে শিখে। আয়নায় প্রতিফলিত ভুল, আমাকে চিনিয়ে দেয় আসল যোগ্যতার শিক্ষাগতা। চিন্তা-চেতনার নৈতিকবোধ, আত্মশুদ্ধির সাধনা অর্জন এবং অন্তরের জাগরণকে একত্রিত সত্যকে দেখায় স্পষ্টভাবে। ন্যায়-অন্যায় বোঝার অভ্যন্তরীণ শক্তি কোনো বহির প্রকাশ নিয়ম নয়; মনের একাধারে সেই গভীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, যা আবেগকে গায় না মাখিয়ে মানবিক ন্যায়ের সন্ধান আত্মবিশ্লেষণে সঠিক পথ বেছে নিতে সাহস দেয়।

আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নৈতিকতার সম্পর্ক ঠিক যেন একই উদ্দেশ্য হাসিলের দুই সঙ্গীতা।
থামানোর মন জানাই প্রকৃত ন্যায়বোধকে ধারণ করতে পারে। যতই চিত্তে ঝড় উঠুক, হৃদয়ের ‘কলব’ পরিষ্কার রাখার জিকির অন্তরের মরিচা দূর করতে শেখায় এবং নিজের লুকানো আলোকে চিনার উপায় বের করে। উচ্ছ্বাসিত আলোটাই বলে দেয় একদিন—কীভাবে নিজের ভুলকে স্বীকার করতে হয়। আর কারো সাথে অন্যায় কাজে না সামিল হয়ে মাথা উঁচু রাখা যায় এবং তার সাথে সাথে আপন চিহ্নে চিহ্নিত শক্তিতে নৈতিক দৃঢ়তা গড়ে ওঠে।

চক্ষু চিন্তাশীল-মানবজন যখন নিজের বিচারের কণ্ঠকে শোনে, তখন নৈতিক শক্তি ধীরে ধীরে কর্ম শক্তিতে পরিণত হয়। প্রতিটি শুদ্ধতার প্রয়াস-পটে , প্রতিটি নিজ মুখে আত্মসমালোচনা এবং প্রতিটি নিরব চিন্তার মুহূর্ত ধরে রাখা, তাকে এক নতুন পথে নিয়ে যায়।

আজকের কর্মফলই, আগামীকাল তার ভোগ-ভবে ফিরে আসে নিজের কাছেই।
তাই বিচারবোধের এই সচেতন দিন-ভর অনুশীলন চেষ্টাকেই আরও সংযমী, প্রজ্ঞাবান ও পরিশুদ্ধ পথে হাঁটতে শেখায়।

আর একটি কথা আমি বলে যে অহংকার তুমি নিয়েছো, তোমার ব্রেন চালে—সেটিকে দায়িত্ববোধের জন্মদান রূপান্তরে, মনে-প্রাণে বাঁচিয়ে নতুন সম্ভবনার দিকে চলো।

নিজ দণ্ডেও মান এর অর্থ ও ব্যাখ্যা চেনার উপায় কি

‘নিজ দণ্ডেও মান’—”নিজেকে জানা” এই বাক্যাংশে লুকিয়ে আছে আত্মশুদ্ধির অদেখা প্রতিফলন ও নিজেকে শোধরানোর গভীর মনস্তত্ত্ব। বাহিরেতে আমার ন্যায়ের পতাকা ওড়ন ওড়ানি—তুবু ন্যায়চর্চা শুরু হয় নিজের উপরই বিচার প্রয়োগ আদালতেই। আমি নিজেই সিদ্ধান্ত-দাতা, আচরণ-বিদে ভুলের দায় নিজেই বহ-মান। অর্পিত দণ্ডকে মেনে নেওয়া মানে যত আত্মপ্রবঞ্চনা আছে আমার ছেড়ে দেই সত্য আগুন জ্বালের মাঝে, এবং সহসা তা অর্জন করি সাহস ভরে।

চেনার উপায় কোথায়?—অন্তরের সেই নীরব স্থানে, যেখানে আত্মসমালোচনার দ্বার-মুখ খুলে দেয়। সামান্য ভুলের আঘাতেই বুক কেঁপে উঠলে বোঝা যায় দণ্ডের অর্থ কেবল শাস্তি নয়—এ এক অফুরান শিক্ষালিপি।

দিনগুলো-বছর-শেষে, নিজের বিচার করার মানসিকতা খুবিই কঠিন। কারণ “কলব” বলে যেমন একটি পরিষ্কার আয়না আছে তাতে ত্রুটি-ধুলোগুলো অদেখা থাকে না। স্মরণ করি—জিকিরের নীরব শ্বাসে, বুঝি দণ্ড মানে নিজের সাথে প্রতারণা না করে সত্যকে গ্রহণ করা।

আমি তুমি আপনারা—যখন নিজ দণ্ডেও মান ধারণ করতে পারবো তখন আমাদের জীবন চলার প্রতিটি বাঁকে নতুন করে জন্ম নেবো।

এবার আমি পংক্তি “নিজ দন্ডেও মান”—এর অর্থ ও ব্যাখ্যা চেনার উপায়-পাতায় পরবর্তি লাইনগুলি দেখি আপন মনে—
“দশার দশায় মোদের—
অটুট কারাগরে নিষ্ঠ পথে,
নিষ্ঠা তরে পথেরই ভ্রমণ তরী মেলে।”

অগণিত কারণ দশায়—একের পর এক জগড়া-বিবাধে, অথবা কোনো মিলন মিলনে আমরা যে শিক্ষা পাই, তাই মোদের অটুট কারাগর, যাকিনা অতি নিষ্ঠ পথ চালন। নিষ্ঠার সাজে ভ্রমণ নৌকা-তরী, ভেড়ায় আসল চিহ্নিত পথ আবিস্করণে।

নির্দিষ্ট কোনো লাইনে জীবন-পাতার সুখ খুঁজে পাই যেমনঃ—
“মিলে মিলাই আজি—
এই ভ্রমণ ঘরণী মনেতে।
বাজি বাজে প্রাণ—
দোলারই কর্ম কান্ডে।”

এ এক অশেষ মিলনতার মাঝে আজি এই ভ্রমণ ঘরণী সূচনা, আমি বাঁধিবো তারে আকুল হৃদয়ে প্রাণ বাজারই দোলায় ঘর। খড়খুটা দ্বারা ঘর তৈরীতে দেহ-বাঁশ কর্ম কান্ডের অক্লান্ত ঘাম ঝড়া নিয়োজিত দেহ-শক্তি। আজকের বুক-চুক্ষু নিভিয়ে যাওয়া “বাজি বাজে প্রাণ—দোলারই কর্ম কান্ডে।”

মানবিক ন্যায়-অন্যায় বোঝার অভ্যন্তরীণ মনস্তত্বে শোধরানো

মানবিক ন্যায়-অন্যায় আসলে বাইরে থেকে কেউর দ্বারা কোনো দোষারপ বা নিয়ম চাপা নয়; এটি এক বোঝার —অভ্যন্তরীণ মনস্তত্বে শোধরানো পর্যবেক্ষণশক্তির প্রতিফলন, নিজেকে বিচার ও কন্ট্রোল করার মন-মানসিকতা অতিক্রমে মনোবৃত্তির ধীরে ধীরে শুদ্ধতার পথে দাঁড় করানো। কোনটি নীতি—কোনটি অনীতি, তা চেনার উপায় কি?—ভাবতে, আমরা অনেক সময় ভাবি ভুল মানে শাস্তি; কিন্তু অভ্যন্তরীণ মনস্তত্ব শক্তি বলে—ভুলই আমাদের শেখায় , আর লজ্জা-বতির লজ্জ-শেখ প্রথম শোধরানোর দরজা।

শোধরানো—বলতে কোনো পুঁথিগত বিদ্যা থেকে নেওয়া নয়। প্রতিদিনের ঘটনাবলীর ভিতর দিয়েই সত্যকে ঠাঁই দিয়ে মানবিক ন্যায়ের আত্মশুদ্ধি সন্ধান বিশ্লেষণ। বিপদ দেখা মাত্রই, কাউকে দোষ না চাপিয়ে বিপদ উদ্ধার রূপে কিছু করা। আর মিথ্যা, মিথ্যা বলে—যে বলে-বই ঘন্টা বজায়, তাকে এড়িয়ে চলে আসল রহস্যঃ উদ্ঘাটনে নিয়োজিত পথে সত্যকে চিরস্থায়ী করো, তাতে হতে পারে মিথ্যাকেও সামান্য আশ্রয় দিয়ে, যেমনটি মিথ্যা আছে বলেই সত্যের জয় হয়।

সত্য বইয়ের বাঁধানো তরে আমার সেই লিখনী;
“স সজ্জায়, সেই সজ্জতার—
তুমি, আমি, সেই মনে।
কানে কানে দন্ড ভাঁজে—
শোনারই তালে তলে।”

তুমি আমি এমনই মনে ব্রত হই—নিজ নিজ সাজের কারণে দোষারোপ ভালোবাসাকে চিনতে পারি। যার যার দোষ যেন নিজেরাই শিকার করি। সবারই কানে পৌঁছে দিতে হবে “কানে কানে দন্ড ভাঁজ”—এক কান থেকে আর এক কানে দ্বন্দ্বের আকার ভেদে দন্ডায়মান হতে হবে। তেমনি শোনারি তালে তলে ভিন্ন ভিন্ন চেনা মুখকে একেবারেই চিনতে হবে।

তাই আবার, আমার পরবর্তী লিখনীর মাঝে
“শোনাই আজ, দন্ড ভরি—
রুক্ষ দাঁড়ান মাঝে।
দাঁড়ান ক্ষমে ভরে—
ক্ষমে পাই হে চিরচেনা ভক্ত মাঝে।”

শোনাই আজ নিখুঁত দন্ড ভরি যা একান্তই রুক্ষ দাঁড়ান মাঝে , (কাউকে ছাড় না দিয়ে) কিন্তু মনোচিন্তে চিন্তাধার শক্তিকে মাঝে মাঝে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যে “ক্ষমাই মহত্বের গুন” তাই দাঁড়ান ক্ষমে ভরে পাই তোমারই অশেষ ভক্ততা।

আত্মশুদ্ধি ও অন্তরের ন্যায়বোধের মানবিক বার্তা

নিজেকে আপডেট করার উপায়ে আসল আলো জন্ম নেয় অন্তরের গভীর নীরবতায়, নিজের আত্মসম্মানের গুরুত্বে ভুলগুলোকে শত্রু না ভেবে—শিক্ষা ভেবে গ্রহণ করতে শেখে। নিজেকে আত্মা রুপে চেনার একমাত্র উপায় কি?—তা খুঁজতে সত্যবাক্যকে মুখোমুখি স্বীকার করা। আত্মসম্মান নষ্ট হওয়ার ভয়ে কলব পরিষ্কার করার নামক জিকিরকে হৃদয় সঙ্গী হিসাবে করে নিতে হবে।

ন্যায়বোধ কখনো একসঙ্গে চিৎকার করে আসে না। এটি আসে ধীর প্রবাহিত গতির — সঠিক সিদ্ধান্তের পর, ছোট ছোটো আত্মস্বীকারোক্তির পর, একটি অনুচ্চারিত ক্ষমা চাওয়ার পর। এইসব ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নৈতিক মুহূর্তই মানুষের ভেতরকার মনস্তত্ত্বে শোধরানো শক্তিকে পরিণত করে।

শেষমেশ মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার উপায় পথ নিজেকে বুদ্ধিমান বহতা নদীর মতো, নিজে বয়ে যায়, এবং নিজে পথ বানায়ে চলতে থাকে। ন্যায়-অন্যায় বোঝার অভ্যন্তরীণ শক্তি তখন আর কোনো না বোঝার তর্কের বিষয় থাকে না; তা হয়ে যায় জীবনের অভ্যন্তরীণ ছন্দ।

নিজেকে নিয়ে কন্ট্রোল ও বিচার করার উপায় বলতে শিখুন— জানা পরিবর্তনের এই গান:-
“তোমারই ভক্ত, তার সত্য ধরে—
সত্য বসে।
করি তাজ বিচার শালা—
স্মরণ তাজে আমি বসে।

বসে বসনের নিজ নিজ পাপের—
ঘরণী নিজে।
আমি নিজে ঘৃণতার তার মুখ—
তৃণতার দহে করি সমো নিজে।

তুমি আমি— যে যাই করি, ভজ মনে।
আমি সেই ঘরণী— দন্ডায়ও মান কারাগারে।
দোয়া করি— সমতার বিচার কক্ষের মনে।”

“দণ্ডঘরণ” এর অর্থ ও ব্যাখ্যায়—তোমাকে সত্যতার ভক্তি এবং তোমারই ন্যায়ের সন্ধান আত্মবিশ্লেষণে—স্মরণ আকৃতির বিচার শালা আমি বসাবো। তোমাদের নিজ নিজ পাপের সাজা ঘরণী তোমরাই, তবে যদি ব্যর্থ হই ঘৃণা করতে তাহলে সমো হবে না নিজে। ঘৃণা যদি নিজের ভিতরেই দমন করতে না পারো, তবে নিজেকেও পুরোপুরি বদলাতে পারবে না।
মনের দিগন্ত গ্রহে, লুকিয়ে যে যাই করি, মনে রাখবে আমি নিজেই ঘর মেকার যেখানে কারাগার নিশ্চিত……

Leave a Comment